গত সন্ধ্যায় অনভ্যস্ত নাভির নিচে অ্যাকটা চকচকে ক্ষুধা ভেসে উঠেছিলো
রক্ত-মাংসে তার নাম লেখা ছিল ‘তৃষ্ণা’
কেন যে সে অহোরাত্র শুধু হুহু করে কেঁদেছিল শ্মশানবাড়ির মতো
আর কেন যে বিধ্বস্ততার মধ্যে হাতড়ে একশা হয়েছিলো জোলো হাওয়া
কী হতে পারে মধ্য নভেম্বরের সেই এভারগ্রিন বাড়িটির আর্দ্র সিনড্রপে
এই ভেবে উদাস হয়েছিলো খড়িওঠা বারান্দার চুন-সুরকি
আমি তাদের কাছে ভ্রমণের টিকিট কাটতে গিয়ে দেখেছি
অন্তত কয়েক লক্ষ জন্মের মতো সংরক্ষিত হয়ে আছে সমস্ত প্রস্তাবনা
ওদিকে বাদামি ওয়েটিংলিস্টগুলো ভাড়া খাটতে গ্যাছে বিষণ্ণ সমুদ্রের দেশে
যেন এই দেশে কোনোদিন পায়রা ওড়ায়নি কেউ—
যেন এই দেশে কখনো কেউ ভাসায়নি ভ্যালা—
আজকাল সমুদ্রগুলিও হয়ে উঠেছে অ্যাকরোখা হলুদ
আসলে তাদেরতো চাই হল্লা করবার মতো যথেষ্ট ঢেউ, তাদেরতো চাই ডানাকাটা
পরির মতো নরম কোমল সব সমুদ্রতট। বাহারি রিসোর্ট। অনাত্মীয় ভ্রমণ...
গত সন্ধ্যায় অনভ্যস্ত নাভি থেকে ভাপ উঠেছিলো গরম কুয়াশার
আর রক্ত-মাংসে তার নাম রেখে ছিলো ‘তৃপ্তি’