ফুলের জন্মকথা
বিভাবসু
ফুল কোথায় ফোটে? বনে বনে? আগানে বাগানে? না গো না। ফুল ফোটে মনে। মনের গভীরে ফুল ফুটতেই থাকে। তুমি তারে থামাতে পারো না। মনবৃক্ষের তলায় বিছিয়ে থাকে সে ফুলরা। ফুলে ফুলে ছয়লাপ হয়ে যায় বৃক্ষতল। আর সে বৃক্ষ যদি বিষবৃক্ষ হয়, তাহলে মনতল থাকে বিষিয়ে। সে বিষ পান করে তুমি নীলকন্ঠ হয়ে উঠতেই পারো। দেবতা আর কী! হতে পারো নীলকন্ঠ পাখি। ফুরুৎ করে উড়ে যেতে পারো যেখানে খুশি সেখানে।
ফুল ফোটে মনে। যতো রাত গভীর হয়, সে ফুল আরো গন্ধময় হয়। সে গন্ধে আইঢাই করে প্রাণ। প্রাণ মুক্তি চায়। অতিসুখের নির্যাতন আর কী! তখন সে রঙকে ডাকে। তুলিকে ডাকে। ডাকে কাগজকে। ডেকে বলো শোনো তোমরা—আমার মন যন্ত্রণায় দীর্ণ হচ্ছে, উপশম চাই। ওরা তখন বলে—এ আর কঠিন কী! চলো আগে অপরাধীর ছবিটা আঁকি। তারপর সেটি আমরা পত্রিকায় ছেপে দেবো।
অপরাধীর ছবি আঁকা হোলো। অ্যাক্রেলিক আলো বিভাসিত হলো মনের ফুল। সে ছবির আলোচিত্র নেয়া হলো। এবার তাকে সাজা দিতে অর্থাৎ সাজাতে নেয়া হলো সংশোধনাগারে মানে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাছে। সবশেষে যে রূপ তার হলো সেটাই তুলে ধরছি এখানে...
২৭.১০.২২