—বিভাবসু
পেট্রল পাম্পের ভেতর থেকে ভেসে আসে অ্যাকটানা বিষন্নতার,
লুব্রিকেন্টের গন্ধ। এরই মধ্যে কেউ কারো দিকে বাড়িয়ে দ্যায়
পলিথিনের স্বচ্ছ বর্ষাতি। য্যানো প্রাচীন সব অভিসারের
সারাৎসারগুলো আজো ভেজায় ৪৯ নম্বর জাতীয় সড়ক, ঘন্টার
পর ঘন্টা। আজো হালকা, ছিপছিপে বিদ্যুৎ ঝলকের মধ্যে
নেমে পড়ে যতো সব জলফোবিয়ায় ভোগা রোগাপটকা মোটরবাইক।
কী অস্বাভাবিক তাদের চলে যাওয়া। আর দুপাশের আকাশমনির বনে ঘনিয়ে আসে, প্রথাহীন আলোর
মোহিনী মেয়েদের ছিপছিপে দেহ। তাদের ফিসফিস।
আর ক্রমাগত দূরের থেকে ভেসে আসে গুঁড়োগুঁড়ো হেডলাইট।
য্যানো প্রাচীন সুরঙ্গের মতো জমকালো তাদের রহস্যময়তা।
এরই মধ্যে ছুটে আসে চোরাই মালের লরি। মহৎ দ্রুততায়। এর পাশে
আকাশমনির নিচে কেউ অ্যাকজন খুলে ফ্যালে পোশাক-আশাক।
কেউ অ্যাকজন খুলে ফ্যালে গভীর সব অন্তর্বাস। বৃষ্টি হতে থাকে—
অলীক মায়ার মতো পৃথিবীতে—কেউ অ্যাকজন, কোনো
অ্যাকজনের ভেতরে হুমড়ি খেয়েখেয়ে ভাবে—
সাত আসমান ভেঙে নামুক আজ প্রলয়ের অঝোর।
শহরতলিতে বৃষ্টি নামলে যে যার ইচ্ছে মতো শুতে চলে যায়।