ঈশ্বর
—বিভাবসু
আজ জল পড়লে জলের বাইরে গড়িয়ে পড়ে পাহাড়প্রমাণ
সব অবিরল ধারা। আজ ভাঙা কাঁসরের মতো বাজতে থাকে
ভ্রান্ত সব অলিগলি—অভীপ্সার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে
মোহবিগলিত আটপৌরে সন্ধিপথ। সন্ধির
পথেপথে আজ বাধ ভাঙে লিপ্সার বিপুল আয়োজন।
আমি জানলার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা প্রজাপতিকে বলি
রূপসচেতনতা বাড়াতে। আমি
দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অলস ঘুণপোকাকে বলি
রাত্রির তৃতীয় যামের উপভোগ্য কোনো স্মৃতিকথা শোনাতে।
এ ভাবে আমি অ্যাক অসফল ড্রামের উদ্বায়ু লহরির মধ্যে
আবিষ্কার করি এই স্বয়ম্ভু আমাকে। আর
আমার বোধ ভেঙে পড়ে বিকাশহীন হাওয়ায় আর
যন্ত্রণায় নীল হোয়ে ওঠা শিরার অকথিত উজ্জ্বলতায়।
আজই প্রথম স্পষ্ট হোয়ে উঠি আমি—জলে, স্থলে, মগডালে
আজই প্রথম আমি সীমাহীন অ্যাক পৃথিবীর আদিঅন্তহীন প্রেতযোনি হিসেবে
গুনে ফেলি নিজেকে আর পেখম মেলে ধরি ময়ূরের মতো।
এ ভাবেই জন্মান্তরের পাপ আমাকে অবিরল করে তোলে
অ্যাক অগভীর কিসসার আড়ালে—বিবিধ ঈশ্বরযাপনে।