ক্রান্তিকাল
—বিভাবসু
তুমিও ক্রমহ্রাসমান বৃষ্টির মতো অ্যাকসময় আমার ভিতরে শুকিয়ে আসো
অ্যাকসময় আমার চোখের ভার অসহ্য হোয়ে আসে আর দপ করে জ্বলে
ওঠে ক্রান্তদর্শী লন্ঠনেরা—চারপাশ ভরে ওঠে ভারী ভারী নিঃশ্বাসে।
আমার অসহ্য ঘুম পায়—তখন আমার অসহ্য ঘুম পায় শ্রাবণ
তখন আমি জলের সাথে আলোর সম্বন্ধ খুঁজি
তখন আমি পাতালের নিকষ অন্ধকার মাখি চোখেমুখে
আর শ্রাবণ শ্রাবণ বলে চেঁচিয়ে বলি
‘এই আমি প্রশস্ত অ্যাক ক্রান্তিকাল বয়ে ফিরি জলে-স্থলে।
এই আমি ব্যথাসংকটে দীর্ণ হই প্রতিদিন’
আমাকে মুক্তি দাও
দুঃখকে জড়িয়ে নিয়ে, ফিরেছি প্রেমে-অপ্রেমে সুহাসিনী সকলের সাথে
আর দুহাত নেড়ে বলেছি—
‘আরো অ্যাক শ্রাবণের দিকে হেঁটে গ্যাছে অনাহূত সময়…’