মধুচন্দ্রে
—বিভাবসু
লুব্ধ আলোর পাশে লিখে রাখি ‘আনমোল’।
গ্রহমুক্ত পরকাল।
খুব বেশি আলো নেই যদিও,
এই স্রোতের প্রসঙ্গে, প্রসঙ্গক্রমে এখানেই,
নীল হোয়ে ঝুলে আছে রেক্সিনে মোড়া তামাটে আকাশ
রাত্রির দুরদৃষ্ট ট্রেনের মতো আরাহস্যিক সেই যাত্রা, শুভ-অশুভভেদ
আর দেবকল্প পাহাড়ের সানুদেশে শুভ্র হোয়ে ঝুলে থাকা মাঙ্গলিক জোছনা।
আর শ্বেতগ্রস্ত বনানীর ফাঁকে ফাঁকে হিংস্র বাঘের গর্জন ভেসে এসে
ভূতিয়া তোলে পাহাড়ি বাংলোর ঘন কাচের জানালা
এবং চন্দ্রাহত সমস্ত পিলসুজ অ্যাকে অ্যাকে নিভে গিয়ে
এই ভরা বৈশাখে, পারস্পরিক খুব হৃদয়ের কাছে
নিজস্ব নির্জনতাপাঠ।
পাহাড়ে পাহাড়ে ভয়ানক স্তব্ধতার অন্ধকার জবুথবুতায় ঘিরে থাকে
ইরেজারে মুছে যাওয়া পাহাড়ি গ্রাম।
আমি, তুমি, মাঝখানে অ্যাকটা ছোট্ট আলোকবর্ষ।
য্যানো আজ প্রকৃত বৃষ্টির মাস।