৩নং কবিতা
—বিভাবসু
আর আমি ভাবি এই অসমগ্রতা,
এই ভূতে-পাওয়া আগস্টের ফুলে-ওঠা জলের নিরিখে দাঁড়িয়ে
তুই কতোটুকু গভীর, কতোটা অকূল
তোর ত্বকের সুকোমল আলোরাও জানে,
ওখানে কবিতা পোড়তে হোলে কতোখানি নিচু হোতে হয়,
তরল হোতে হয়। ঠিক বুকের মাঝখানটিতে
সোনালি রোমের মতো গোড়িয়ে পোড়তে হয় ধ্বনিকে।
নইলে ভয়াবহ বিতৃষ্ণা জাগে—
নইলে চতুর্দশ চাঁদ বড়ো পানসে হোয়ে ওঠে অযৌনতায়
এই শ্রাবণ ঢলোঢলো আগস্টের নরম জানালার পাশে
উঠে আসে রীতিহীন চাঁদের মহিমা
তার সাথে কথা হয় গতজন্মের আমি-র
য্যানো তুই নোস, সে জন্মও আমার
ঘৃণার পাশে বড়ো হোয়ে উঠেছিলো অকুণ্ঠ অ্যাক পিপাসা
এই সব কৃপণ স্বপ্নযাপনের শেষে
দ্যাখা হয় মসলিনের মতো হালকা কুয়াশায় ঘেরা
অ্যাক জলের অতলের সাথে
য্যানো ওইখানেই ছিটকে পোড়েছিলো আমার
অল্প কিছু গোলাপি পরমায়ু। য্যানো উপহাস্যসমিধ’