৪নং কবিতা


 ৪নং কবিতা

—বিভাবসু
‘আজ তোর ত্বকের তীব্র লবণে ভেঙে পোড়ে বুঝেছি,
এ রকম মিথস্ক্রিয়া মূলত উৎসর্গপ্রবণ, উৎসন্নযাপী
মাটির খুব কাছঘেঁষে থাকা নিথর পাতাল, পাতালের দুর্মর,
সব কিছু তাই অজাগতিক হোয়ে পোড়েছিলো—
য্যানো তোকে ঘিরে উৎসবে মেতেছে
নোতুন কোনো জলপ্লাবন, ধন্নাগান
য্যানো শ্রাবণের মুক্তি ছিলো না কোনো।
তাই তোর ত্বকের কোষেকোষে মেতেছিলো
তেইশের বন্য উচ্ছলতা, ভরভারন্ত ইউক্যালিপ্টাস—
য্যানো আজ প্রলয়
এ সব জানে না কোনো ঘুণাক্ষরও—
অ্যাকতাল প্রাপ্তির নিচে জানে শুধু হলদে কার্পেট
শুধু অ্যাকটা বিনম্র লরেলপাতার শিরস্ত্রাণ
আর অনুপম কিছু জলাঞ্জলি
আজ তোর ত্বকের তীব্র লবণে ভেঙে পোড়ে বুঝেছি
এ দেহ মূলত উৎসর্গপ্রবণ, এ জীবন মূলত পরজন্মভোগী।
তাই, রাত জেগে পাহারা দিয়েছি প্রতিবিপ্লব, অপ্রতিম চান্দ্রবিষাদ
আর বারবার ভেঙে পোড়েছি তোর স্বাগতিক স্বপ্নের দেহে।
এই সব গোপন অবিরাম জয়ে’
নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন